ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি:

ডিপোর বিস্ফোরণ হার মানালো সিনেমার দৃশ্যকেও বিস্ফোরণের বিকটশব্দ শোনা গেছে ৪ কিলোমিটার দূরেও ৪শ’র মত কন্টেইনার পুড়ছে যার আর্থিক মূল্য শত কোটি টাকা উপরে বলে ধারণা করা হয়েছে।পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস সূত্র ও স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনার ভয়াবহতার এমনই বিবরণ দিয়েছেন।

সীতাকুণ্ড সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কেমিক্যাল ডিপুতে শনিবার (২৪এপ্রিল) দিবাগত রাত ১০টার পর এই ঘটনাটি ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহত নিহত স্বজনদের আহাজারি আর্তচিৎকারে যেন আকাশ বাতাস ভারী করে তুলে। এখনো আগুন জ্বলছে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট । খুব সংকটে এবং ভয়াবহ অবস্থায় অতিক্রম করছে।

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪জন হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। আহতের প্রায় ৭৫০ জনের বেশি এর মধ্য ৩০জন পুলিশ,  ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছে।

এমনকি বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। অনেকের বাড়িঘরের জানালার কাঁচ ভেঙ্গপ পড়ে। রাতে আকস্মিক এই ঘটনায় অনেকে ভাবেন হয়ত ভূমিকম্প হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে একজন পরিদর্শক, একজন এএসআই, ৭ জন কনস্টেবল।
আহতের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম জানিয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন। সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, বিস্ফোরণে তাঁদের থানার কনস্টেবল তুহিনের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরও অন্তত পাঁচ কনস্টেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জেন ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দগ্ধদের চিকিৎসা সংক্রান্তে ও জরুরি রক্তদানে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। সেই সাথে সকল সেচ্ছাসেবী, রাজনৈতিক,
সাংগঠনিকসহ সর্বস্তরের সক্রিয় নেতৃত্বে থাকা নেতাকর্মী, জনসাধারণকে নির্বাহী, প্রশাসনিক, দাপ্তরিক আদেশ ও কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জরুরি আদেশে দেন।

সেই সাথে সকলের নিকট একটাই অনুরোধ ও চাওয়া সকলকেই যেন মানবিক সহায়তায় নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে অবস্থান করার জন্য। হতাহতের সংখ্যা অনেক,প্রচুর পরিমাণ রক্ত ও ঔষধ সামগ্রী প্রয়োজন হচ্ছে।

আপনাদের প্রচার সহযোগিতার হাত বাঁচিয়ে দিতে পারে অনেক প্রাণ। আপনাদের পরিচিত রক্তযোদ্ধা বন্ধুদেরও আসার জন্য অনুরোধ করুন।